শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীতে ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে পদ্মার ভাঙ্গন, স্কুল, ফসলি জমি ও ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে

রাজশাহীতে ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে পদ্মার ভাঙ্গন, স্কুল, ফসলি জমি ও ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে

রাজশাহীতে ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে পদ্মার ভাঙ্গন, স্কুল, ফসলি জমি ও ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে
পদ্মার ভাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহীতে ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে পদ্মার ভাঙ্গন। ইতোমধ্যে পবা উপজেলার হরিয়ান ইউপির প্রায় সাড়ে তিনশো বিঘা ফসলি জমিসহ অন্তত ৫০টি ঘর-বাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। গত ২০দিন ধরে এ অবস্থা চললেও কোন সহযোগিতা নেই বলে অভিযোগ করছেন ভূক্তভোগীরা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহী নগরীর সাড়ে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে পদ্মার ওপারে পবা উপজেলার হরিয়ান ইউপি’র চরখিদিরপুর ও খানপুর ওয়াডে ২০দিন ধরে অব্যাহত ভাবে চলছে পদ্মার ভাঙ্গন।

এলাকাবাসী জানায়, খানপুর ও চরখিদিরপুর গ্রামের বহু মানুষের ঘরবাড়ি গত ১ সপ্তাহ থেকে নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে।

এলাকার নাদের হোসেন (৬০) জানান, পদ্মার ভাঙ্গনে তাদের বসতভিটা। সাথে ৪০ বিঘা জমিও গেছে নদী গর্ভে। এসব জমিতে ছিল পটল, আমন ধান, পাট ও বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। ফলে অসহায় এসব পরিবারের দিন কাটছে অর্ধঅনাহারে। এখন পালাক্রমে চলছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস। গ্রামের প্রায় সাড়ে ৩শ বিঘা জমি ইতোমধ্যে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে।

এদিকে, যে যেভাবে পারছেন ঘর-বাড়ির আসবাব ও চালাসহ প্রয়োজনীয় জিনিজপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। অনেকেই জমি ভাড়া নিয়ে বাড়ি ঘর স্থানান্তর করছেন। আবার কেউ কেউ খোলা আকাশের নিচেই দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, ভাঙন কবলিত মানুষের সহায়তার জন্য তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেও কোন সাড়া মেলেনি। এ ছাড়া সরকারের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তাও মেলেনি বলে জানান তিনি।

ঘর-বাড়ি হারানোর আতঙ্কে তাদের মতো একই আফসোস পদ্মাপাড়ের মানুষদের। কেননা নদীর তীরজুড়ে দেখা দিয়েছে প্রবল ভাঙন। কয়েকদিন ধরে ব্যাপক ভাঙন রাজশাহীর পবা, উপজেলার আলাইপুর নাপিতপাড়া, মধ্যপাড়া ও দক্ষিনপাড়া এলাকায়। এই ভাঙনে নদীর পেটে চলে গেছে শুকচাঁন, লালু, মুনছার, ছেতাব, টেনু, মহরম, রবিউল, অলতাফ, কমল, বাদশা, মিলন, আকরাম, আলম, সাধু, মনি, সেলিম, লাভ আলী, আখের ও বিকুলসহ অনেকের কয়েকশ’ বিঘা জমিসহ গাছপালা। ঘরবাড়ি হারানোর আতঙ্কে অধিক ঝুঁকির মুখে বসবাস করছে নদী তীরবর্তী শতাধিক পরিবার।

ভাঙন থেকে রক্ষায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ধ্বসে যাওয়া স্থান মেরামত ও ভাঙন প্রতিরোধে এ কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে স্থানীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছেন। তার আগে গোকুলপুর-জোতকাদিরপুর বাঁধের কাছে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে ভাঙন প্রতিরোধে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আরিফুল ইসলাম মাখন বালুভর্তি বস্তা ফেলার কাজ করছেন।

 মতিহার বার্তা ডট কম – ১১ অক্টোবর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply